Wednesday, December 25, 2013
শবাসন
পদ্ধতি
১. দুই হাত শরীরের দুই পাশে মেলে রেখে সটান চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এই সময় হাতের তালু থাকবে উপরের দিকে এবং একটু বাইরের দিকে হেলানো থাকবে।
২. পা দুটোর মাঝে কিছুটা ফাঁক রাখুন। এই সময় পায়ের পাতা বাইরের দিকে একটু হেলে থাকবে।
৩. সমস্ত শরীরকে শয়ন তলের উপর ছেড়ে দিন।
৪. খুব ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে থাকুন। এবার মনকে সমস্ত চিন্তামূক্ত করুন এবং শরীরকে শিথিল করে দিন। তাতে প্রথমে শরীরটাকে ভার মনে হবে। পরে শরীরের উপস্থিতিকে ভুলে যাবার চেষ্টা করতে হবে। ফলে একসময় পুরো শরীরকে হাল্কা মনে হবে। মূলত এই আসনটি সহজ। কারণ এর দৈহিক ভঙ্গিমা অত্যন্ত সহজ। আবার এটি সবচেয়ে কঠিনও বটে। কারণ, মনকে সংযত করে, শরীরকে অগ্রাহ্য করে, চিন্তাশূন্য অবস্থায় অবস্থান করাটা অতটা সহজ ব্যাপার নয়।
মূলত এই আসনটি করা হয়, অন্য আসনের শেষে বিশ্রাম করার জন্য। এক্ষেত্রে একটি আসন যতক্ষণ করবেন, ঠিক ততক্ষণই শবাসন থাকবেন। অন্য আসন ছাড়াও শারীরীক ও মানসিক বিশ্রামের জন্য শুধু শবাসন করতে পারেন।
উপকারিতা
১. উচ্চ-রক্তচাপের রোগীরা এই আসনটি থেকে বিশেষ উপকৃত হবেন।
২. দীর্ঘক্ষণ শারীরীক বা মানসিক পরিশ্রমের পর শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে, এই আসন দ্বারা শারীরীক ও মানসিক শক্তি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।
৩. স্নায়বিক দুর্বলতা, অনিদ্রা, অবসাদ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এই আসন অত্যন্ত ফলপ্রসু ফলাফল প্রদান করে থাকে।
পদ্মাসন
পদ্মাসন যোগশাস্ত্রে বর্ণিত আসন বিশেষ। এই আসনে পায়ের বিন্যাস পদ্মফুলের পাপড়ির মতো বিকশিত অবস্থায় স্থাপিত হয় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে পদ্মাসন (পদ্ম + আসন)। এই আসনের কিছুটা পরিবর্তন করে বা অন্যান্য আসনের সাথে যুক্ত করে, এর বিভিন্ন প্রকরণের সৃষ্টি হয়েছে। এই দুইটি শ্রেণী বিবেচনায় যে সকল পদ্মাসন পাওয়া যায়, সেগুলো হলো—
বর্ধিত পদ্মাসন ও মিশ্র আসন : অধমুখ পদ্মাসন, অর্ধবদ্ধ-পদ্মাসন, উত্থিত পদ্মাসন, ঊর্ধ্বমুখ পদ্মাসন, করণ্ডাসন,
গর্বাসন, পদ্ম-ভুজপীড়াসন, তোলাসন, পরিবৃত্ত পদ্মাসন (বদ্ধ-পদ্মাসন), পর্বতাসন স্বস্তিকাসন।অন্য আসনের সাথে যুক্ত পদ্মাসন : অর্ধবদ্ধপদ্ম-পশ্চিমোত্তানাসন, অর্ধবদ্ধপদ্ম-পশ্চিমোত্তানাসন, অর্ধবদ্ধপদ্ম-ময়ূরাসন, ঊর্ধ্ব-পদ্মশীর্ষাসন, পদ্ম-ময়ূরাসন, পিণ্ডাসন।
পদ্ধতি
১. প্রথমে দুই পা লম্বা করে সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে কোন সমতল স্থানে বসুন।
২. এবার ডান পা টেনে এনে বাম পায়ের উপর এমনভাবে স্থাপন করুন, যেনো ডান পায়ের পাতা বাম উরুর কুচকি বরাবর স্থাপিত হয়। এবার বাম পা ভাঁজ করে ডান উরুর উপরে তুলে আনুন।
৩. এবার মেরুদণ্ড সোজা করে দুটো হাত সোজা করে উভয় হাঁটুর পাশে রাখুন। পায়ের পাতা আলগা করে দিন। একই সাথে হাতের আঙুলগুলো আলগা করে দিন।
৪. শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এইভাবে ৩০ সেকেণ্ড স্থির থাকুন। তারপর পা বদল করে আসনটি আবার করুন। এরপর আসনটি শেষ করে ১ মিনিট শবাসনে বিশ্রাম নিন।
৫. প্রাথমিক পর্যায়ে এই আসনে থাকাটা কষ্টকর মনে হলে সময়সীমা কমিয়ে দিতে পারেন। আবার অভ্যস্থ হয়ে গেলে, আসন সময় ৬০ সেকেণ্ড পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারেন।
উপকারিতা
১. হাটু, কোমরে বাত থাকলে নিরাময় হয়।
২. পায়ের ও মেরুদণ্ডের আড়ষ্টতা দূর হয়।
৩. স্মৃতি শক্তি ও মনের একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়।
৪. অনিদ্রাজনিত অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
Sunday, December 22, 2013
ইতি মোহ-মুদ্গর
Saturday, December 21, 2013
মোহ মুদ্গর (ভাগ- প্রথম)
Tuesday, December 17, 2013
Shiv Vashikaran Mantra
मंत्र
ॐ वज्रकरण शिवे रुध रुध भवे ममाई अमृत कुरु कुरु स्वाहा ll
Mantra
English Translation
Om vajrakaran shive rudh rudh bhave mamae amrut kuru swaha ll
This Mantra has to be recited 10,000 times to achieve Siddhi[Mastery].There after achieving Siddhi the following Vashikaran experiments can be practices, by the divine vibrations of this Mantra. The articles required for the Vashikaran experiments are easily available in most Ayuurveda shops in India.
1. During the Solar Eclipse the root of the white Sirpunkha [सरपुंखाकी जड़] has to be procured and made into a paste mixed with water. This paste has to be applied in the Eyes as Anjan [Anoint] doing this will bring the King [Ruler] and the public under your spell.
2. Mustaki Jad [मुस्ताकी जड़] is to be kept in the mouth and the name of the person you wish to attract has to be taken, this will bring that person under your spell of attraction.
3. Mustamul [मुस्तामूलं] if Embossed in gold will bring you happiness and lots of wealth will come your way.
4. Mustamul [मुस्तामूलं] if turned into a paste along with Sandalwood and if applied on your forehead as Tilak [Religious Mark applied with thumb] will attract any member of the opposite sex who sees the Tilak.
5.Mansil [मनसिल], Gorochan [गोरोचन] and Mustaki Jad [मुस्ताकी जड़] if mixed into water and turned into a paste, and applied as Tilak [Religious Mark applied with thumb] taking the name of the person you wish to attract, will bring that person under your spell of attraction.
Disclaimer-These Mantras and experiments have been given for information purposes only.
Saturday, December 14, 2013
আত্মজ্ঞান নির্ণয় (ভাগ-শেষ)
Friday, December 13, 2013
রসুন (Allium sativum)
রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যাবহৃত হয়।
রসুন গাছ একটি সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলি শ্রেণীর বহুবর্ষজীবী গুল্ম।
বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)।
রসুন গাছের বিটপের নিম্নাংশ পরিবর্তিত হয়ে বাল্ব জাতীয় সঞ্চয়ী অঙ্গ তৈরি করে যা মশলা হিসাবে রান্নায় ব্যাবহৃত হয়। পিয়াঁজের সঙ্গে প্রধান পার্থক্য হল সাদা রঙ এবং অনেক কোয়ার গুচ্ছ।
আত্মজ্ঞান নির্ণয় (ভাগ-২)
Tuesday, December 10, 2013
আত্মজ্ঞান নির্ণয় (ভাগ-১)
Monday, December 09, 2013
শিব-গীতা
শিব-গীতা
প্রথম অধ্যায়
প্রথমে প্রনতি জানাই দেব নারায়ণে।
জয় দেবি সরস্বতি মতি শিব জ্ঞানে।।
কহিলেন সূত সব ঋষিগন প্রতি।
গীতা শাস্ত্র অধ্যয়ন মুক্তিদায়ী অতি।।
মহেশের অনুগ্রহে করিনু ব্যাখ্যান।
মহাদুখঃ তরিবার শিব উপাখ্যান।।
বেদকর্ম, দান, তপ যত করা যায়।
মানব কৈবল্যপদ কভু নাহি পায়।।
কৈবল্য লাভে পথ কিছু নাই আর।
একমাত্র জ্ঞানই পথ শুদ্ধ জ্ঞান সার।।
পুরাকালে দণ্ডবনে শুনিলেন রাম।
শিবমুখে গোপনীয় শিব উপাখ্যান।।
যা স্মরণে মানবের মুক্তি হয় ত্বরা।
স্কন্দ হতে শুনেছিল সনৎ কুমারেরা।।
ব্যাসদেব তাহা শুনে কুমার দ্বয় হতে।
কৃপা করি বলিলেন এই সূতপুতে।।
করি সাঙ্গ উপাখ্যান ব্যসদেব কহে।
কহিওনা তারে যে অধিকারী নহে।।
আমার বাক্যের যদি করহে অন্যথা।
দেবগণ রুষ্ট হয়ে শাপ দিবে তথা।।
অনন্তর জিজ্ঞাসিনু দেব বেদব্যাসে।
দেবগন রুষ্ট হবেন কিসের অভ্যাসে।।
কি কারনে তাহাদের হইবে কি হানি।
ক্রুদ্ধ হবে দেবগন ইচ্ছা হয় জানি।।
তাহা শুনি কহিলেন পরাশরসূত।
কারন শ্রবণ কর অতীব অদ্ভূত।।
নিত্য অগ্নিহোত্রে রত যতেক ব্রাহ্মণ।
কামধেনু রূপ মানে সর্ব দেবগণ।।
ভক্ষ্য, ভোজ্য, পেয় যা ইষ্ট পদে দান
স্বর্গে থেকে দেবগণ অগ্নি দ্বারা পান।।
ইহা ছাড়া দেবগনের অন্য পথ নাই।
অগ্নি ভুখ দেব মুখ বলা হয় তাই।।
গৃহ ছাড়ি দুগ্ধবতী অন্য কোথা গেলে।
গৃহ নিমজ্জিত হয় দুখঃ হলাহলে।।
বিপ্রগণ লভে যদি এই ব্রহ্ম জ্ঞান।
যাগ যজ্ঞ হীন হয় দেব দুখঃ পান।।
বিষয়ের বিষ ঢালি তাই দেবগণ
সদাই ব্যাস্ত রাখে মানবের মন।।
স্ত্রী-পুত্র-সংসারে মন ন্যাস্ত রয়।
জীবগনে শিব জ্ঞান কভু নাহি হয়।।
যদি বা শিব জ্ঞান কভু সমুদ্ভবে।
মধ্য পথে বিঘ্ন ফলে বিচ্ছিন্নতা লভে।।
দয়া করে যদি শিব দেন দরশন।
চিনেও না চিনে তারে অবিশ্বাসী মন।।
এতেক শুনি মুনিগন সূতেরে জিজ্ঞাসে।
পুরুষের মুক্তি সাধন হবে তবে কিসে।।
দেবগণ হন যদি তাহে অন্তরায়।
শিবজ্ঞান হবে তবে কহ কি উপায়।।
কহিলেন সূত - মুনি জানহ নিশ্চয়।
কোটি জন্ম পুন্যফলে শিবে ভক্তি হয় ।।
সকল কামনা হীন হইয়া তখন।
ইষ্ট-পূর্ত্ত সকল কর্ম করে শিবার্পণ।।
শম্ভূ অনুগ্রহে তবে দৃঢ় হয় নর।
বিঘ্ন হেতু ভয়ে ডরে যত সুরেশ্বর।।
বিঘ্ন দূরীকৃত হলে ভক্তি তৃষ্ণা জাগে।
শিব চরিত শুনি মনে বড় ভাল লাগে।।
শুনিতে শুনিতে কথা জ্ঞান উপজয়।
শিব জ্ঞান হলে পরে তবে মুক্তি হয়।।
কি কহিব কি বলিব শিবে ভক্তি অতি।
পঞ্চপাপ কোটিপাপ সকল বিমুচ্যতি।।
শিব ভক্তি সম্পন্ন অতি মূর্খ জন।
পলকেই নাশ করে সংসার বন্ধন।।
যেই জন ভক্তি করে বা করে দ্বেষ।
উভয়েরই ইচ্ছা পূরন করেন মহেশ।।
ভক্তিভরে তারে যদি দাও ফুল ও জল।
ত্রি জগত দেন তিনি হইয়া কুশল।।
ফুল-জল নাহি পাও কর নমস্কার।
অর্দ্ধ প্রদক্ষিণে তিনি হন চমৎকার।।
প্রদক্ষিণে অশক্ত হও কর চিন্তা তাহে।
সর্ব্ব অভীষ্ট সিদ্ধ হবে শিব অনুগ্রহে।।
বেলকাঠের চন্দন আর বন্য পুষ্প-ফলে।
যে জন প্রীত হয় ভক্তি সহ দিলে।।
তার সেবা করা বল কি আর দুষ্কর।
কিছু না পাহিলে তবে হাত জোড় কর।।
বন্য দ্রব্যে তিনি হন যাদৃশী খুশী।
গ্রাম্য দ্রব্যে উত্তম দ্রব্যে না হন তাদৃশী।।
সুখলভ্য শম্ভূ ছাড়ি যে পূজে অন্য নাম।
ভাগীরথী ছাড়ি সে মৃগতৃষ্ণিকাম্।।