Social Icons

twitterfacebookgoogle pluslinkedinrss feedemail

Friday, December 13, 2013

রসুন (Allium sativum)



রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যাবহৃত হয়।
রসুন গাছ একটি সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলি শ্রেণীর বহুবর্ষজীবী গুল্ম।
বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)।
রসুন গাছের বিটপের নিম্নাংশ পরিবর্তিত হয়ে বাল্ব জাতীয় সঞ্চয়ী অঙ্গ তৈরি করে যা মশলা হিসাবে রান্নায় ব্যাবহৃত হয়। পিয়াঁজের সঙ্গে প্রধান পার্থক্য হল সাদা রঙ এবং অনেক কোয়ার গুচ্ছ।

অ্যালিসিন
এর প্রধান সক্রিয় উপাদান অ্যালিসিন নামক সালফারযুক্ত জৈব যৌগ। অ্যালিসিন রসুনের কুখ্যাত গন্ধ ও বিখ্যাত ভেষজ গুণ দুইয়ের-ই প্রধাণ কারণ। অক্ষত রসুনে অ্যালিসিন থাকে না, থাকে অ্যালিইন - একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিন তৈরীতে অংশ গ্রহণ করে না (যা নিজে আরেক অ্যামিনো অ্যাসিড সিস্টিন থেকে তৈরি হয়)।
। রসুনকে কাটলে বা ক্ষত করলে অ্যালিনেজ নামে একটি উৎসেচক অ্যালিইন থেকে অ্যালিসিন তৈরি করে। অ্যালিসিন খুবই স্বল্পস্থায়ী। রান্না করলে বা অ্যাসিডের প্রভাবে অ্যালিনেজও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই ভেষজ গুণের জন্য কাঁচা রসুন বেশী উপকারী। অ্যালিসিন দেহে কোলেস্টেরল তৈরির উৎসেচক এইচএমজিকোএ রিডাক্টেজ কে বাধা দেয় বলে জানা গেছে। অনেকে বিশ্বাস করেন অণুচক্রিকার উপরে কাজ করে এটি রক্ততঞ্চনে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা হৃদোরোগে উপকারী। কিন্তু এর নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
রসুনের অনেক গুন আছে, যেমন-
 হাড় ভেঙ্গে গেলে।
 হাড় সরে গেলে।
 বিভিন্ন চক্ষুরোগে
 ক্রিমি রোগে।
 হাড়ের বিভিন্ন রোগে
 চোখের বিভিন্ন রোগে ও রাতকানা রোগে।
 বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগে।
 শ্বাস ও শ্বাস জাতীয় রোগে।
 বীর্য-সম্বন্ধীয় রোগে।
 কুষ্ঠ রোগে।
 পালা জ্বরে।
 মূত্র সংক্রান্ত রোগে।
রোগে ব্যবহার-
 বাতের বেদনায়- যে সকল বাত মাংসাশ্রিত সেই সব বাত গ্রস্ত রোগীকে রসুন ২ কোয়া বেঁটে গাওয়া ঘিয়ের সাথে খেতে দিলে ব্যাথা বেদনা থাকবে না।
২ হাঁফানীতে- হাঁফানীর জন্য যদি শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়, দম যদি বন্ধ হয়ে আসে সেই সব রোগীকে ৫ থেকে ৭ ফোঁটা রসুনের রস এককাপ ঠাণ্ডা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে দিলে কষ্টটা আর থাকে না।
৩ পুরাতন জ্বরে- যে সব জ্বর বেশী বাড়ে না, ঘুস ঘুসে জ্বর হয়, জ্বর কমে গেলেও পুরো পুরি ছাড়ে না এই সব অবস্থা দেখা দিলে ১ চা চামচ গাওয়া ঘি নিয়ে তাতে ৫ থেকে ৭ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে জ্বর একেবারে ছেড়ে যায় আর আসে না।
৪ শরীর ক্ষয়প্রাপ্ত হলে- খাবার অসুবিধা নেই অথচ গায়ে মাংস লাগছে না এই অবস্থায় রসুন ২ কোয়া বেঁটে ২৫০ মিলি দুধের সাথে মিশিয়ে সেই দুধ গরম করে খেলে কিছুদিনের মধ্যেই উপকার পাওয়া যায়।
৫ যৌবন স্থায়ী রাখতে-  এক চামচ বা দু চামচ কাঁচা আমলকীর রসের সাথে তার সাথে ১ বা ২ কোয়া রসুন বেঁটে মিশিয়ে খেলে সেই পুরুষ বা নারীর যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়। যৌবন আরম্ভ হওয়ার সময় থেকে খেলে এর সত্যকারের সুফল অনুভূত হয়।
৬ মাথা ধরায়- অনেক সময় সর্দি না হলেও বায়ু প্রকুপিত হয়ে মাথা ধরে থাকে এই অবস্থায় কয়েকদিন রসুনের নস্য নিলে মাথা ধরায় উপকার পাওয়া যাবে।
৭ শুক্রতারল্যে- অনেক কারণেই শুক্রতারল্য দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে হালকা গরম দুধের সাথে ১ বা ২ কোয়া রসুন বাঁটা মিশিয়ে খেলে  অস্থিতে শক্তি সঞ্চার ঘটে ও শুক্রতারল্য থাকে না।
রসুনের গন্ধ- অনেকেই রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না তার জন্য রসুনের কোয়ার খোসা ছাড়িয়ে রসুনকে আধখানা করে কেটে আগের দিন রাত্রে টক দইয়ের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে পরের দিন ধুয়ে ব্যাবহার করলে দ্রব্যগুণ বজায় থাকবে ও রসুনের গন্ধ আর থাকে না।
মনে রাখা উচিত – কাঁচা দুধের সাথে এবং মাছের সাথে রসুন খেলে রক্ত দুষ্টি  হয় এর জন্য দুধকে আগে ফুটিয়ে নিয়ে ব্যাবহার করতে হবে।
এছাড়াও রসুন ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। ত্বকে ছত্রাক সংক্রমনে কাঁচা রসুন খুবই উপকারী। কাঁচা রসুনের সেবনে শরীরের অভ্যন্তরে রক্ত চলাচল ও রক্ত তঞ্চনে সহায়তা কারী অনুচক্রিকা কে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে থাকে। এলার্জী ঘটিত রোগে রসুন উপকারী, তাছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রসুন সাহায্য করে থাকে। দাঁতের ক্ষয়, ডায়বিটিস, রক্তচাপ জনিত রোগে রসুন খুবই উপকারী। রসুনের মধ্যে ক্যন্সার প্রতিরোধ কারি এলিসিন ভাল মাত্রায় থাকে।

•  Nutrition Facts
 Garlic
Amount Per  100 grams
Calories 149
•  % Daily Value*
Total Fat 0.5 g 0%
Saturated fat 0.1 g 0%
Polyunsaturated fat 0.2 g
Monounsaturated fat 0 g
Cholesterol 0 mg 0%
Sodium 17 mg 0%
Potassium 401 mg 11%
Total Carbohydrate 33 g 11%
Dietary fiber 2.1 g 8%
Sugar 1 g
Protein 6 g 12%
Vitamin A 0% Vitamin C 52%
Calcium 18% Iron 9%
Vitamin D 0% Vitamin B-6 60%
Vitamin B-12 0% Magnesium 6%
*Per cent Daily Values are based on a 2,000 calorie diet. Your daily values may be higher or lower depending on your calorie needs.

No comments:

Post a Comment

 

Nataraja


Nataraj
Nataraja

Tantrik

Tantrik
Tantrik

Yabyum

Yabyum
Yabyum